শান্তি ও স্বস্তির সন্ধানে
মানুষের প্রবৃত্তিতে শুরু থেকে লালসার বীজ নিহিত রয়েছে। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির বিকাশ ও প্রকাশ মাত্র। এর বিরুদ্ধে চলা কিছুতেই সম্ভব নয়, যতক্ষন না আল্লাহ্র বিধানের পরিবর্তন হবে, ততক্ষন পর্যন্ত এর ব্যতিক্রম আশা করা দূরহ্ ব্যাপার মাত্র। তাই আল্লাহ্র নিষেধকৃত পথ বর্জন করে এবং আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের পছন্দনীয় পথের সীমানার মধ্যে বিচরণ করার মাধ্যমই কর্মময় ও ধর্মময় আকাঙ্খার শুভ ফল নিহিত রয়েছে। এই কারণেই প্রতিটি কর্মের শুরুটা গ্রহ, নক্ষত্র, লগ্ন, রাশি, তিথি ষোড়ষবর্গ বিচার করে শুভক্ষনে শুরু করা উচিত। শুভক্ষনটা নির্নয় করা সম্ভব একমাত্র মহা জাগতিক আত্মসাদ্ধিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের সূত্র মতে। আত্ম সাধনায় সাদ্ধিক জ্যোতিষীগণ, সৌরজগতের গ্রহ নক্ষত্রের বিচ্ছুরিত শুভাশুভ আলোক রশ্মির প্রভাবে সাংঘর্ষিক সংমিশ্রনের ফলে ঐ সময় ধরীত্রির বুকে সর্ব্ববস্তুর উপর আকর্ষীয় কি কি হতে পারে তা জানার জন্য মিশরের রাজা ফেরাউনের গণনাকারী জ্যোতিষী পরিষদ পর্যালোচনায় বসেন ফেরাউনের নির্দেশে। জ্যোতিষী পরিষদের গণনাকারীরা বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রের হিসাব ও সূত্র সঠিক ভাবে নির্নয় করে জানতে পারেন যে একজন মহা মানব পৃথিবীতে আগমন করবেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এবং তাঁর মাধ্যমেই সমস্ত পৌত্তলিক অপসংস্কৃতি নিয়ম কানুন বিনষ্ট হবে এবং নির্দ্দিষ্ট সময়ে ফেরাউনকে পরাজিত করে মিশর তথা ফেরাউনের সাম্রাজ্য দখল করবেন। পরিনামে হলোও তাই। ইতিহাস ও আসমানী কিতাবের মাধ্যমে আল্লাহ্ পাক পরোয়ার দেগার আমাদেরকে জানিয়েছেন তিনি একজন মোরশেল পয়গম্বর হয়রত মুসা আলাইহিস সালাম। ইহা থেকেই জ্যোতিষীর জাগতিক বিষয় আগাম গণনা প্রমানিত হয়। পৃথিবীর বুকে এই ধারা আজও প্রচলিত আছে। ধরনীর বুকে বহু জাতি, বহুদেশ আজও প্রকাশ্যে বলছেন যে, তাঁদের দেশ থেকেই(আমি দেশটির নাম উল্লেখ করলাম না) জ্যোতিষ শাস্ত্র,বাস্তু শাস্ত্র উৎপত্তি হয়েছে। আমি আমার গবেষণার মাধ্যমে যাহা জানতে পারলাম তাহা হলো ইসলাম ধর্মের শুরু থেকেই উক্ত শাস্ত্রের উৎপত্তি হয়েছে (আমার নিকট প্রমান বিদ্যমান আছে)। আল বেরুনী সর্বপ্রথম প্রমান করলেন যে সকল গ্রহ পূর্ব দিকে ধাবিত। কয়েক লক্ষ বৎসর পূর্ব থেকেই মুসলমানদের মাধ্যমেই জ্যোতিষ শাস্ত্র চর্চা,গণিত শাস্ত্রের চর্চা, বিজ্ঞানে সব শাখারই চর্চা হয়ে আসছে। সামান্য একটি উদাহরণ যদি বাস্তবে আমরা দেখি ও বুঝার চেষ্টা করি তবে বিস্তারিত সত্য দৃশ্যমান মধ্যাহ্ন সূর্যের ন্যায় প্রমান হয়ে যাবে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের মাধ্যমে কাবা ঘর নির্মান কাজ শুরু হয় আল্লাহর নির্দেশে। নির্দ্দিষ্ট মাসের নির্দ্দিষ্ট তারিখে চন্দ্রকে কেন্দ্র করে চন্দ্রের উদয় অস্ত হিসাব ধরেই হজ্ব রোজা, মহরম, ঈদ, শবে বরাত,শবে কদর,নামাজের সুনির্দ্দিষ্ট সময় ও অন্যান্য সকল প্রকার মুসলমান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু ও শেষ হয়ে থাকে নির্দ্দিষ্ট পরিসীমার গন্ডিতে, কোষ্ঠীতেও ঠিক তাই, চন্দ্র যে রাশিতে অক্ষাংশও দ্রাঘিমাংশ এবং অয়নাংশ অনুসারে থাকবে তাহাই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে রাশি। আবার চন্দ্রকে লগ্ন ধরে খুবই জটিল হিসাব বের করে একজন সচেতন মানুষের পবর্ততুল্য সমস্যার সমাধোনের পথ নির্দেশ করে দিতে হয়। সুতরাং মুসলমানদের মাধ্যমেই পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা থেকে উল্লেখিত শাস্ত্র উৎপত্তি হয়েছে চর্চাও হয়েছে, প্রাচীন সেপন তার আরেক প্রমান। সেপনে মুসলমানদের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির উপরে লেখা পড়ার জন্য শুধু সমগ্র ইউরোপ নয়,সমগ্র বিশ্ব এসেছে জ্ঞান চর্চার জন্য। আরবের নাবিকারই সর্বপ্রথম সমুদ্রপথ আবিস্কার করেন,ইতিহাস তার বৃহৎ প্রমান। সুতরাং যেদেশ ও জাতি বলবে তাঁর দেশ থেকে জ্যোতিষ, বাস্তু, তন্ত্র ও অন্যান্য শাস্ত্রের উৎপত্তি হয়েছে তাঁরা তার প্রমানিক দলিল দিতে সম্পূর্ন রুপে অক্ষম বলে আমি মনে করি। আজও অনেক সচেতন নর-নারী অর্থনৈতিক ও জাগতিক কোন কাজ শুরু করার প্রারম্ভেই জ্যোতিষী গননার মাধ্যমে গ্রহনক্ষত্রের বিচ্ছুরিত প্রতিফলিত আলোক রশ্মির ফলাফল হিসাব করেই কাজটি শুরু করেন, শুভ ফলাফলের আশায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুভ ফল প্রতিফলিত হতে দেখা যায়, কার্যকারী ভাবে প্রতিকার ব্যবস্থা সঠিক হলেই সুপ্রভাবের ফলাফলও আশা করা যায়।
0 comments:
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)