মানব জীবনে কোষ্ঠীর প্রয়োজনীয়তা
জ্যোতিষীর মূল কথা হচ্ছে আকাশের সকল গ্রহগুলো বর্তমানে ঘূর্ণয়মান ফলেই পৃথিবীতে মানবের পরবর্তী কার্যকারীর জন্য দায়ী। অর্থাৎ বিশ্বমানব জাতির সকলে বর্তমানে যা কিছু কর্ম করছেন যা কিছু বিশ্বে নতুন নতুন সৃষ্টির ক্রমবিকাশ ঘটছে তার মূল কারণ তখনকার সময় আকাশে গ্রহগণের বিচরণের ফল। কারণ গ্রহ আগে চলে মানুষ চলে পরে। গ্রহসমূহ মানুষকে যেভাবে পরিচালিত করছেন বর্তমানে সেইসব কর্ম করে চলছে। সাধারণ কথায় একই নিয়মতান্ত্রিক প্রথায় সৃষ্ট গ্রহ-নক্ষত্রসমূহ আর সৃষ্ট মানব জীবন সকলেই একসূত্রে গাঁথা। বিশ্বে মানব জাতিকে নিজের দেশ, নিজের জাতি, জন্মস্থান পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক সম্বন্ধে সেই সাথে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সম্বন্ধে সত্য ও সঠিক জ্ঞান থাকা দরকার।
নিজের অথবা নিজেদের সংসার এবং সন্তানাদি আপনজনের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি সঠিক ও সত্যভাবে সচেতন থাকা দরকার মনে করি। প্রত্যেকের নিজ নিজ কর্তব্য সম্বন্ধে সর্বসময় যদি সজাগ থাকা যায় তবে শান্তি, নি_র্ভয়, সুসময় ভবিষ্যৎ ও সৌভাগ্য (সুসময়) অর্জন করা যায়। সেই সাথে নিজের দেহ ও মনের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকলে সুষ্ঠুভাবে নিজের কর্ম ও সুসময় অর্জণ করে নিশ্চিত পথে অগ্রসর হওয়া যায়। কেননা মানুষের মধ্যে চিন্তা ও চেতনার বিকল্প মানুষ নিজেই। অন্য কেও এসে সহস্রবার চেতনাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করলেও চেতনা জাগ্রত হবে না। এই চিন্তা চেতনা সুখময় ভবিষ্যৎ নিজের চাওয়া-পাওয়ায় নিশ্চিত সুসময় ও উন্নতির পূর্ব পাথেয় হচ্ছে কোষ্ঠীর মাধ্যমে সম্পূর্ণ ও সঠিকভাবে জেনে কর্মে মনোনিবেশ করা। কেননা জাতক-জাতিকার বর্ণানুভিত্তিতে গ্রহ-নক্ষত্রের সমান্তরাল গতি অনুসারে ভবিষ্যৎ ফলাফল, যাহা তার কর্মের মধ্যেই পরিগণিত। সহজভাবে বুঝতে গেলে বিধাতার বিধিলিপি যাহা অনেকের জানা থাকে না। ফলশ্রুতিতে সুফল-কুফল না জেনে জাতক-জাতিকা কর্মে লিপ্ত হয়। দেখা যায়, কাহারো পক্ষে সু-আবার কাহারো পক্ষে কুফল বয়ে আনে। সৃষ্টির জন্ম থেকে মরণ সেতুর মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের ফল াফল ভোগ ও উপভোগের মানদন্ড নিয়ন্ত্রিত হয় গ্রহ-নক্ষত্রের প্রতিফলিত আলোক রশ্মির প্রভাবে, পার্থক্য শুধু হয় ভৌগোলিক অবস্থান ভেদে। তাই একই ব্যক্তির ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে কর্মকরণের ফলাফল ভোগ ও উপভোগের পার্থক্য-পার্থক্য। ভৌগোলিক নির্দিষ্টতা জন্মকালীন গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব বিচার বিশ্লেষণ করে কর্মপন্থা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত করে নেওয়া উচিত। তা হলে অসময়ে অথবা দুঃসময়ে হয়রান হয়ে জ্যোতিষীর শরণাপন্নে বিফল মনোরথ হতে হয় না। এই কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজন হয় কোষ্ঠীর। কেননা কোষ্ঠীতে উল্লেখ থাকবে দেহ, ধন, সহোদর, মিত্র ও স্বজন, বিদ্যা ও সন্তান, রিপু ও শত্রু, বিবাহ ও বাণিজ্য, ফাঁড়া ও সম্ভাব্য পরমায়ূম, ধর্ম ও ভাগ্য, কর্ম ও পিত্র, লাভ ও আয়, ব্যয় ও ক্ষতি, জীবনের শুভশুভ কর্ম, বিদ্যা ও পেশা। আরও উল্লেখ থাকবে বৎসর মাস, দিন অনুযায়ী শুভাশুভ সময়, কি ধরণের পেশায় কোন দিকে সাফল্য তৎসঙ্গে অশুভ গ্রহ-নক্ষত্রের প্রতিকার ব্যবস্থা যাহা জাতক-জাতিকা নিজেই প্রতিকার করতে সক্ষম। জীবনে একবার কোষ্ঠী করে রাখলে আর কোন দিন জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হতে হবে না। কেননা বিধাতার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে গ্রহ-নক্ষত্রসমূহ পৃথিবীর উৎপত্তি স্থিতি ও বিনাশ সাধন করছেন। যেমন বৃহসপতি গ্রহ শতভিষা নক্ষত্র। জ্যোতিষ শাস্ত্রে গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধির পর্যালোচনা এবং প্রতিটি স্থানে যুক্তি রয়েছে। জীবনের সুসময় ও দুঃসময় একমাত্র জ্যোতিষ শাস্ত্র ছাড়া নির্দেশ করতে অক্ষম। সুসময়ে সচেতন হলে এবং যথার্থ কাজে মনোনিবেশ করলে ব্যর্থতাকে জয় করা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় দুঃসময়েই মানুষ আসে সুসময়ের জন্য, ইহাই আমাদের ভুল। এই শাস্ত্র ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে একনিষ্ঠ বন্ধু ও সৎ পরামর্শদাতার মত গাইড লাইন দিতে সক্ষম। আমরা যদি পূর্ব থেকে সকর্তকা অবলম্বন করতে পারি তবে অশুভ প্রভাব বহুলাংশে লোপ পায়। সন্তান জন্মগ্রহণের পর প্রতিটি পিতা-মাতার উচিত কোষ্ঠী প্রস্তুত করে নেওয়া। যে মানুষ নিজের জন্ম সময় দিয়ে, নিজের জন্মরাশি ও লগ্নের ভাল-মন্দ জানা নেই তাঁর জীবন অন্ধকার গৃহের মতো।
জীবন পথের একটি সত্য সূক্ষ্ম দিশারী কোষ্ঠী। যে সকল গ্রহ দ্বারা মানবাত্মার জীবন পথ প্রশস্ত, অন্ধকার ও ঔজ্জল্যের কারণ জেনে প্রাপ্ত ও অশুভ প্রভাব নিরসন করা যায়, সেই সকল গ্রহ নক্ষত্র ও রাশি অর্থাৎ নিজের দেহ ও মনের প্রতিফলিত শক্তির প্রভাব কখন এবং কিভাবে মানব জীবন পথে আল্লাহ বা পরমেশ্বরের অর্থাৎ পিতার বীজের শক্তির পটভূমিকা ক্রীয়াশীল হবে তাহাই প্রত্যেক কোষ্ঠীতে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়। যা দ্বারা সকল সত্যাসত্য বিষয়ে পর্যালোচনা জাতক-জাতিকা নিজেই জানতে পারবেন। কোষ্ঠীর দ্বারা জানতে পারবেন সারা জীবনের ঘটনা প্রবাহ। মোট কথা আপনার সম্পূর্ণ জীবন প্রবাহ।
নিজের অথবা নিজেদের সংসার এবং সন্তানাদি আপনজনের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি সঠিক ও সত্যভাবে সচেতন থাকা দরকার মনে করি। প্রত্যেকের নিজ নিজ কর্তব্য সম্বন্ধে সর্বসময় যদি সজাগ থাকা যায় তবে শান্তি, নি_র্ভয়, সুসময় ভবিষ্যৎ ও সৌভাগ্য (সুসময়) অর্জন করা যায়। সেই সাথে নিজের দেহ ও মনের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকলে সুষ্ঠুভাবে নিজের কর্ম ও সুসময় অর্জণ করে নিশ্চিত পথে অগ্রসর হওয়া যায়। কেননা মানুষের মধ্যে চিন্তা ও চেতনার বিকল্প মানুষ নিজেই। অন্য কেও এসে সহস্রবার চেতনাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করলেও চেতনা জাগ্রত হবে না। এই চিন্তা চেতনা সুখময় ভবিষ্যৎ নিজের চাওয়া-পাওয়ায় নিশ্চিত সুসময় ও উন্নতির পূর্ব পাথেয় হচ্ছে কোষ্ঠীর মাধ্যমে সম্পূর্ণ ও সঠিকভাবে জেনে কর্মে মনোনিবেশ করা। কেননা জাতক-জাতিকার বর্ণানুভিত্তিতে গ্রহ-নক্ষত্রের সমান্তরাল গতি অনুসারে ভবিষ্যৎ ফলাফল, যাহা তার কর্মের মধ্যেই পরিগণিত। সহজভাবে বুঝতে গেলে বিধাতার বিধিলিপি যাহা অনেকের জানা থাকে না। ফলশ্রুতিতে সুফল-কুফল না জেনে জাতক-জাতিকা কর্মে লিপ্ত হয়। দেখা যায়, কাহারো পক্ষে সু-আবার কাহারো পক্ষে কুফল বয়ে আনে। সৃষ্টির জন্ম থেকে মরণ সেতুর মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের ফল াফল ভোগ ও উপভোগের মানদন্ড নিয়ন্ত্রিত হয় গ্রহ-নক্ষত্রের প্রতিফলিত আলোক রশ্মির প্রভাবে, পার্থক্য শুধু হয় ভৌগোলিক অবস্থান ভেদে। তাই একই ব্যক্তির ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে কর্মকরণের ফলাফল ভোগ ও উপভোগের পার্থক্য-পার্থক্য। ভৌগোলিক নির্দিষ্টতা জন্মকালীন গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব বিচার বিশ্লেষণ করে কর্মপন্থা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত করে নেওয়া উচিত। তা হলে অসময়ে অথবা দুঃসময়ে হয়রান হয়ে জ্যোতিষীর শরণাপন্নে বিফল মনোরথ হতে হয় না। এই কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজন হয় কোষ্ঠীর। কেননা কোষ্ঠীতে উল্লেখ থাকবে দেহ, ধন, সহোদর, মিত্র ও স্বজন, বিদ্যা ও সন্তান, রিপু ও শত্রু, বিবাহ ও বাণিজ্য, ফাঁড়া ও সম্ভাব্য পরমায়ূম, ধর্ম ও ভাগ্য, কর্ম ও পিত্র, লাভ ও আয়, ব্যয় ও ক্ষতি, জীবনের শুভশুভ কর্ম, বিদ্যা ও পেশা। আরও উল্লেখ থাকবে বৎসর মাস, দিন অনুযায়ী শুভাশুভ সময়, কি ধরণের পেশায় কোন দিকে সাফল্য তৎসঙ্গে অশুভ গ্রহ-নক্ষত্রের প্রতিকার ব্যবস্থা যাহা জাতক-জাতিকা নিজেই প্রতিকার করতে সক্ষম। জীবনে একবার কোষ্ঠী করে রাখলে আর কোন দিন জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হতে হবে না। কেননা বিধাতার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে গ্রহ-নক্ষত্রসমূহ পৃথিবীর উৎপত্তি স্থিতি ও বিনাশ সাধন করছেন। যেমন বৃহসপতি গ্রহ শতভিষা নক্ষত্র। জ্যোতিষ শাস্ত্রে গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধির পর্যালোচনা এবং প্রতিটি স্থানে যুক্তি রয়েছে। জীবনের সুসময় ও দুঃসময় একমাত্র জ্যোতিষ শাস্ত্র ছাড়া নির্দেশ করতে অক্ষম। সুসময়ে সচেতন হলে এবং যথার্থ কাজে মনোনিবেশ করলে ব্যর্থতাকে জয় করা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় দুঃসময়েই মানুষ আসে সুসময়ের জন্য, ইহাই আমাদের ভুল। এই শাস্ত্র ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে একনিষ্ঠ বন্ধু ও সৎ পরামর্শদাতার মত গাইড লাইন দিতে সক্ষম। আমরা যদি পূর্ব থেকে সকর্তকা অবলম্বন করতে পারি তবে অশুভ প্রভাব বহুলাংশে লোপ পায়। সন্তান জন্মগ্রহণের পর প্রতিটি পিতা-মাতার উচিত কোষ্ঠী প্রস্তুত করে নেওয়া। যে মানুষ নিজের জন্ম সময় দিয়ে, নিজের জন্মরাশি ও লগ্নের ভাল-মন্দ জানা নেই তাঁর জীবন অন্ধকার গৃহের মতো।
- ঘর আছে কিন্তু আলো নেই।
- ফুল আছে কিন্তু ঘ্রান নেই।
- ভাগ্যে আছে কিন্তু কর্মে নেই।
- মনে আছে কিন্তু প্রকাশ নেই।
- প্রয়োজন আছে কিন্তু উদ্দীপনা নেই।
- মানুষ বটে কিন্তু সুশিক্ষা নেই।
- চাঞ্চল্য আছে কিন্তু সংযম নেই।
- নৈরাশ্য আছে কিন্তু নিজের উপর আস্থা নেই।
- বহু উপার্জন আছে কিন্তু সঞ্চয় নেই।
- কষ্ট আছে কিন্তু আরাম নেই।
জীবন পথের একটি সত্য সূক্ষ্ম দিশারী কোষ্ঠী। যে সকল গ্রহ দ্বারা মানবাত্মার জীবন পথ প্রশস্ত, অন্ধকার ও ঔজ্জল্যের কারণ জেনে প্রাপ্ত ও অশুভ প্রভাব নিরসন করা যায়, সেই সকল গ্রহ নক্ষত্র ও রাশি অর্থাৎ নিজের দেহ ও মনের প্রতিফলিত শক্তির প্রভাব কখন এবং কিভাবে মানব জীবন পথে আল্লাহ বা পরমেশ্বরের অর্থাৎ পিতার বীজের শক্তির পটভূমিকা ক্রীয়াশীল হবে তাহাই প্রত্যেক কোষ্ঠীতে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়। যা দ্বারা সকল সত্যাসত্য বিষয়ে পর্যালোচনা জাতক-জাতিকা নিজেই জানতে পারবেন। কোষ্ঠীর দ্বারা জানতে পারবেন সারা জীবনের ঘটনা প্রবাহ। মোট কথা আপনার সম্পূর্ণ জীবন প্রবাহ।
4 comments:
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোষ্ঠি না থাকলে কি করা যাবে?
Akashnill says
আপনার জন্ম কোষ্ঠি বেড় করে নিতে পারেন। আপনার জন্ম তারিখ টা বলুন, অনেক কিছু যেনে যাবেন।
নামহীন says
আমার জন্ম 16ই ডিসেম্বর
Unknown says
আমার জন্ম তারিখঃ ৩রা মে, ১৯৮২