রত্ন-পাথর এর বিভিন্ন কাটিং ও নমুনা
রত্ন-পাথর খনি থেকে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর ঔজ্জ্বল্য ও জ্যোর্তিময়তা প্রকাশ পায় না। বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারে ছোট বড় বিভিন্ন কাটিং ও পালিশ করার পরই রত্ন-পাথরের উজ্জ্বল ও সৌন্দর্য জৌলুস ফুটে ওঠে। এক এক রকম রত্ন-পাথরের গুণাবলী প্রকাশের জন্য এক এক রকম আকৃতি উপযুক্ত।
উপুড় করা বাটির মতো আকৃতিকে বলে ‘ক্যাবোকন’ (Cabochon) এবং সমস্ত পাথর জুড়ে বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারে ছোট ছোট সমতল ক্ষেত্রে কাটা হয় সেগুলোকে বলে ‘ফেসেট’(Faceted)। পাথরের বিভিন্ন দিক ‘ফেসেট’ কেটে সামগ্রিকভাবে যে আকৃতি দেয়া হয়, সেই আকৃতির নাম-টেবল-কাট, স্টেপ-কাট, রোজ-কাট, ব্রিলিয়ান্ট-কাট ইত্যাদি। রোজ-কাট আকৃতিতে থাকে ২৪টা ত্রিভোজাকৃতি ‘ফেসেট’। আর ব্রিলিয়ান্টথ-কাট আকৃতিতে থাকে অন্তত ৫৮টা ‘ফেসেট’, যার মধ্যে ত্রিভূজও আছে আবার চতুর্ভূজ, পঞ্চভূজ, ষড়ভূজও আছে। এগুলো জ্যামিতিক আকৃতি, খেয়াল খুশিমত কাটা নয়। প্রত্যেকটা ফেসেট-এ নিখুঁত কোণ করে কাটা। যাতে সামগ্রিকভাবে রত্ন-পাথরটা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। তা নাহলে তার সঠিক জৌলুস, ঔজ্জ্বল্য , সৌন্দর্য প্রকাশই পাবে না। শুধু তাই নয় এই সূক্ষ্ম কাজ যথেষ্ট সময় পরিশ্রম ও দক্ষতার সাথে করতে হয়। কখনও কখনও একটা ‘ফেসেট’ নিখুঁত করতেই কেটে যায় দিনের পর দিন।
হীরা দিয়ে রত্ন-পাথর কাটা হয়। কারণ বিশ্বে হীরার চেয়ে শক্ত কোন কঠিন পদার্থের অস্তিত্বই নাই। তাছাড়া অন্তত ৯০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা না উঠলে হীরা বিন্দুমাত্র বিকৃত হয় না। সুতরাং অন্য রত্ন-পাথর তো বটেই, এমনকি হীরা কাটতেও হীরাই ব্যবহার করতে হয়। রত্ন-পাথর কাটার মূল সরঞ্জামকে ‘ডোপ’ বলে।
0 comments:
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)